নারীর গল্প মুতাকাব্বির মাসুদ শীতের অলস কুয়াশায় নারী-ভেজা ভেজা আঁচলে পেঁচার যন্ত্রণাকাতর ডানার নিচে আদৃত তমস্বিনীর বুকে নিজেকে সমর্পিত করে চাঁদের বৈধব্য আলোয় এক ঝাঁক তমোমণি ক্লান্ত ডানায় তমোঘ্ন নিয়ে উড়ে রহস্যময় তিমির হলুদবনে! চোখের বয়সী চাতালে নির্ঘুম রাত আর আমি এক কালো নারীর গল্প বলি স্বল্প বিস্তারিত পড়ুন
পিতার মুখ মুতাকাব্বির মাসুদ আমার নির্যাতিত মানচিত্রের পিঠে অবিধেয় নয়টি মাস অবিস্মরণীয়-যন্ত্রণাদগ্ধ এক রক্তাক্ত উপত্যকা দীপ্যমান আটচল্লিশটি মোমের প্রজ্বালক হাতে তবুও চলছে স্বদেশ-দুর্দম্য নহলী আবেগে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল-এখন পুরো আকাশটাই আমার! আমার জয়বাংলার গুড্ডি শকুন মুক্ত আকাশে উড়াই আমি মন চায় যখন বন্ধনহীন উদ্দাম বাতাসে শুনি কালজয়ী সেই মহাকাব্যের ধ্বনি সাদা বকের সাদা বিস্তারিত পড়ুন
আত্মাহুতি মুতাকাব্বির মাসুদ আমি ঈশ্বরের ভেতর ঈশ্বর খুঁজি ঈশ্বর কি তা জানে? মানুষের ভিড়ে ঈশ্বর হাঁটে ঈশ্বরের সাথে মানুষ! আমি কেমনে চিনি-কে ঈশ্বর কে মানুষ ? উর্ধমুখী অগ্নিকুঞ্জে-ঈশ্বরন্বেষণে পাখির আত্মাহুতি! জলধীর মাতাল ঢেউয়ে-ঈশ্বরের অতুল রূপে মুগ্ধ মিথুনের আত্মাহুতি স্থিতধী দিঘির লাজুক কমলিনী-ঈশ্বর দর্শনে জলের আত্মাহুতি! ঈশ্বর প্রেমে মত্ত নক্ষত্রের মৃত্তিকায় আত্মাহুতি বিস্তারিত পড়ুন
আত্মগত মুতাকাব্বির মাসুদ কবিতার অন্তঃপুরে আমার স্বপ্নরা নির্ঘুম নিশিযাপন করে তাই কোনোএক ভোরে শিশিরের নিঃশব্দ দুঃখগুলো কবিতা হয়ে ঝরে পড়ে আমি এখন বিপাশার পিপাশায় বিপন্ন রোদের জল গিলে খাই আমি নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে আমার আত্মগত- আত্ম পচনের গন্ধ শোঁকি ঝড় তুলা গোধূলির-নিরন্ন বৈধব্যের আঁচলে ঝরা পাতায় হলুদের ক্লেদমাখা সুখ আমি আমাকে খুঁজি বিবর্ণ পাতার রুগ্ন শিরার […]বিস্তারিত পড়ুন
সব সত্যি কি ধরা পড়ে? কিরণ আহমেদ স্বপ্নকে আমি বাক্সবন্দি করে রেখেছি বহুকাল দরজায় কড়া নেড়ে যখন তুমি আমার বুকে একগুচ্ছ স্বপ্ন দ্রোহের স্পন্দনের মতো ছুড়ে দিলে আমার বুকের মাঝখানে- আমিও ঝিনুকের খোল সেই যে বন্ধ করলাম আজ অবধি তা রাজবাড়ির অন্ধকুঠুরির নিষিদ্ধ ঘরে বন্দির মতো- কিছু ভয়, কিছু রোমাঞ্চ, কিছু প্রত্যাশা, কিছু প্রাপ্তি নিয়ে […]বিস্তারিত পড়ুন
স্বাধীনতার কবিতা আয়েশা বেগম একটা কবিতা লিখবো বলে, বিজয়ানুষঙ্গ খুঁজছি, আমার প্রিয় দেশমৃত্তিকায়, দেশমাতৃকায় ৷ স্বাধীনতা কি শুধুই সার্বভৌমত্ব, মানবতার বিজয় নয় ! হাঁ, একটা ভূখণ্ড পেয়েছি ঠিকই, সুরক্ষিত যার সীমানা ৷ বন্দরগুলোতে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য রমরমা ৷ কৃষি কিংবা ভোগ্য পণ্যের উৎপাদন হচ্ছে বিস্তর ! শহরময় অট্টালিকা, আকাশ ছুঁয়েছে সুরম্য নগর ৷ উন্নয়নের জোয়ারে […]বিস্তারিত পড়ুন
“স্বপ্নে প্রতীক্ষা” শিল্পী কবি শালাস্কো হোসেন শাহাদাত প্রতি রাতে আমি তার ফেরার প্রতীক্ষা করি এক সুন্দর, গৌরবময় এক সে বিস্ময় নিয়ে আমার মন ভরে সূর্য থেকে তার আলো প্রতিফলিত করে তিনি অল্পে আর আকাশের প্রতি করুণা সে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে আছে রূপার মুখ দিয়ে সে তার আলোয় ঝিলিক দেয় দেখার জন্য আর পৃথিবীকে দেখাচ্ছে মহামান্য […]বিস্তারিত পড়ুন
নাও রুমকি আনোয়ার নাও থেকে উজানে ঠেলে ঠেলে জীবনের লগি কেবল হেইয়া হ হেইয়া হ, পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দ কোথায় যে নোঙ্গর, পরানের গহীনে বিরান মরুভূমি, খালি খালি লাগে ক্যা । একবাও, দুই বাও, বাও যে ফুরায় না কিনার ঘেইষা বাড়ি থাইক্যা কে জানি চিৎকুর দিয়া উঠলো পরানের ভিতর পরান কোথায় যে নোঙ্গর ? বাড়িত […]বিস্তারিত পড়ুন
মৃত্যুর বুকে কবিতা মায়িশা তাসনিম ইসলাম এই শ্রাবণের গ্রীষ্মে পাপেরা জলজ বিষ্ময় রোদের পুরোহিত পাঠ করে ত্রিপিটক, জানালার কাঁচে… মেঘেরা ধর্মান্ধ বৃক্ষেরা নাস্তিক জমিনে বমির মতো আগুন ভাসায় সূর্যদেব। জীবনভরা উত্তপ্ত মগে কুণ্ডলী পাকায় ঘোর চিতার আগুনের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করে মৃত্যু-প্রেম। তোমরাও যাবে জলে ও মাটিতে কবিরা সব ধরণের মৃত্যুই ভালোবাসে।বিস্তারিত পড়ুন
আঁধার লুফাইয়্যা শাম্মী আঁধারের চোখে হেঁটে চলে নিঃসঙ্গ দুঃখ মিছিল; যেন কল্পনার রাজপথে গোপন ব্যথার বিশুদ্ধ রক্তছাপ। কামিনীরা ঝরে যায় ঘুমন্ত প্রেমিকের কোলে এই রাতে;নিশ্চুপে। ঘুমহীন কামুক ইচ্ছে;প্রেমক্লান্ত রাতের পাখি চোখ ঠুকরে খায়। নগ্ন হাওয়ায় মোড়কহীন থ্যাবড়ানো বুক নিয়ে প্রেমিকারা জেগে রয়-কষ্ট কিংবা লাঞ্ছনা দিয়ে সাজানো প্রেমিকের ঘরে।বিস্তারিত পড়ুন
তুমি বদলাওনি মুতাকাব্বির মাসুদ সাতচল্লিশটি বছর ধরে দেখছি তোমাকে! বহুরূপী তুমি! আমার পরাবাস্তব শহর-পুড়ে যাওয়া দগ্ধানো শরীর সাতচল্লিশটি ইট তোমার পৈশাচিক দলন দহনে আজও এক রক্তাক্ত পাণ্ডুলিপি! কোন এক দলিত মায়ের বরফ শীতল নিমগ্ন চোখ! কুপির আলোয় রাতের দাওয়ায় আজও ভেসে ওঠে দাহিত বারুদ আর বুলেটের আগুনসিসার নির্মম গন্ধ! পাখিগুলো আজও বিষণ্ণতায় কেঁদে কেঁদে ফেরে […]বিস্তারিত পড়ুন
কারচুপির আকাশ মুতাকাব্বির মাসুদ কাঁটাবনে কারচুপির আকাশ কুমারী তারার ঘর নীল মগজে নীল চাঁদোয়া আঁধারিয়া রাত! অনূঢ়া অসুয়া খেলে বিধবা পাখির ডানায় কামনার শিস তুলে সকাম মধ্যনিশিতে বৈধব্যের নিকানো চুলে! কাজলচোখ তার রাতের আঁধার আঁধির আঁচলে খেলে তারার যৌবন আহত পাখি সুর নিয়ে উড়ে স্বপ্ন মাখে ডানায়- প্রণয়ের উজাল চুম্বনের ভাতি ছড়ায় জীবনের রূপ তারার […]বিস্তারিত পড়ুন
মাঝে মাঝে কিরণ আহমেদ মাঝেমাঝে দীর্ঘশ্বাস বুকের জমিন ছিঁড়ে-ফেড়ে বের হয় ড্রাগনের মুখ দিয়ে ছোড়া আগুনের গোলকের মতো অপসৃৃত জ্বালাগুলো ক্রমে ক্রমে ছুটে যায় জীবন-মরণ মাঝে ঝিল্লি ভেদ করে। মনে হয় জনান্তিকে বসে কেউ বুঝি ডাকছে আমায় শৃঙ্খলহীন স্মৃতিরা এলোমেলো উড়ে চলে ভবঘুরে পথ ধরে এতিম স্বপ্নের ঝুম বুনোপথে বিচরণ নাকডাকা ঘুমঘোরে। মাঝেমাঝে এ হৃদয়ে […]বিস্তারিত পড়ুন
কফিন সৈয়দ হোসেন বুকের ভিতর দানাবাঁধা কষ্ট নির্বাক ভয় হয় স্টোকের আতঙ্ক হাতকড়া হা করে তাকিয়ে থাকে মন বলে, সেল থেকে কবর উত্তম। আবার যেদিন চৌচির রাজপথে রক্তপলাশের ফাগুন হবে; ফিরে আসবে প্রীতিলতা তিতুমীর সেদিন লাখো জনতার মধ্য হতে কোন কবি বলে উঠবে, ‘এটা কোন লাশ নয়, এটা ইতিহাস!’ হাতকড়া ডাণ্ডাবেঁড়ি খুলে যাবে ঝটপট কয়েকটা […]বিস্তারিত পড়ুন
শেষ আলাপচারিতা রুমকি আনোয়ার শীর্নকায় শরীরটা কাঁথা টেনে মুড়িয়ে রাখি কেবিনটাও দিনের বেলায়ও প্রায় অন্ধকারচ্ছন্ন , মেজাজটা অল্পতে উগ্র ,মৃত্যুর স্বাদ নিতে যাওয়া মানুষগুলো বুঝি এমন ই হয় ,মাঝে মাঝে তীব্র ব্যাথায় ঠোঁট নীল হয়ে আসে একটা গান ই কেবল ফিরে ফিরে শুনি ” মিষ্টি একটা গন্ধ রয়েছে ঘরটা জুড়ে — একসময় ফিনাইলের গন্ধটা অসহ্য […]বিস্তারিত পড়ুন
নিঃসঙ্গ বিশ্ব মুতাকাব্বির মাসুদ একাই হাঁটছে আমার প্রিয় পৃথিবী! নিঃসঙ্গ বিশ্ব এখন অদৃশ্য সুতোয় নাচে! প্রচণ্ড দাম্ভিক কুয়াশা রুপোলী দিবসের বাঁকে বৈশ্বিক দুর্বোধ্যতায় বেঁধেছে তারে। কারো ন্যায্য অভিমানে বিচলিত নয় সে। মহাকালের রক্তাক্ত শিকলে বান্ধা বিশ্ব! বন্ধ্যা সময় এখন! তথাকথিত এক পাগল সম্রাটের বিলাসী অগণতান্ত্রিক উঠোনে- বিশ্ব খেলে এক অনভ্যস্ত কাবাডি স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের বিস্তারিত পড়ুন