মুতাকাব্বির মাসুদের কবিতা
নায়ক
তালি দেয়া স্যান্ন্ডেলে যুবক হাঁটে
রোদের রুপোলী আগুনে পুড়ে
সময়ের নায়ক!
হলুদ করবী খেলে
মাতাল আগুনের শিষে
যুবক খুঁজে বিপন্ন জামদানী
বনশিমুলের তলে!
রুদের রুদ্র দ্রোহ খেলে
তার নীলনীল সুতো ওঠা জিন্সের পেন্টে
চোখে কালো চশমা
বদলে ফেলে হোঁচট খাওয়া নিলামি শহরের আদল!
দিনের কুশলী ব্যস্ততা;কোলাহলমুখর সন্ধ্যার শরীর নিজেকে হারায়ে হয় আগন্তুক!
বিলাপ শুনে নর্দমায়
নবজাতকের কান্না
ওঠে আসে তার সার্টের কলারে
টাইয়ের নিপুণ নটে
চোখের পলকসীমায় পোড়ামাটির ইতিহাস
দ্রুতই বদলে যায়
আত্মকেন্দ্রিক নারসিসাসদের
আয়নায় বাঁধানো শ্রুতলিপি!
সে জেনেগেছে
জোড়াশালিক বাঁধেনা ঘর এখানে
বোলডোজার ছায়া ফেলেছে
ললিতকলার উঠোনে
হিজিবিজি ক্যাবলের তারে
বসেনা কাক
পুড়ে মরে বিদ্বজ্জনের বিদ্বেষানলে!
রঙচটা গলার চেনে যুবকের
যৌবন খেলে
বিন্দু বিন্দু
ঘামের ভেতর
মধ্যরাতে ঘোড়ায় চড়ে
স্বপ্নের বিকম্পিত বরফ শরীর
জামদানী আঁকড়ে যুবক মায়ের গন্ধ শোঁকে
শিথানে বদলে যায়
চিরচেনা শহর!
জানলার ওপাশে ঝুলে থাকা
সোডিয়াম লাইট
এ শহরে বেড়ে ওঠা শৈশব-যৌবন
সব অপসৃত হয় পরিশ্রুতির আড়ালে
এতদিনের পরিচিত চশমা
ঝাপসা হয়
পরিশ্রমী চোখের জলে!
শকুনের ডানার শব্দে
মায়ের বিষণ্ণ চোখ
মনে পড়ে…!
দেখে ফিঙেভোরে
এ শহর নিলাম হয়
কতিপয় চণ্ডালের হাতে!
মধ্যরাতের চিকন কালো শরীর
পেঁচার কর্কশ সুর-
ঠোসাপড়া পায়ের জলছাপ
মাটির বিদীর্ণ চঞ্চুতে ফেলে
যুবক হাঁটে…
সময়ের ‘নায়ক’ হাঁটে ছায়ার সাথে
অন্য কোনো শহরের খুঁজে!
১২-০৯-২০২০