থাইল্যান্ড ভ্রমণের অপূর্ব অভিজ্ঞতা
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন
তারপর গেলাম পাহাড়ের উপর বড় বুদ্ধ দেখতে। এখানে বলে রাখি থাইল্যান্ডের একজনই দেবতা আরাধ্য – ভগবান বুদ্ধদেব। এখান থেকে নীচের দৃশ্য নয়নাভিরাম। আমরা পাহাড়ের উপরে আর আমাদের চারিদিকে পাহাড়, নীচে সমুদ্র। চক্ষু সার্থক হল মনও ভরে গেল।
এবারে আমাদের গন্তব্যস্থল বিগ মনাস্ট্রি। কথিত অাছে এখানে ভগবান বুদ্ধদেব নানা রূপে বিরাজমান। কখনও তিনি ধ্যানস্থ মেডিটেশন করছেন, কথনও আশীর্বাদদাতা আবার কখনও শান্তির দূত, আবার কথনও বিশ্রামরত। এই সব দেখতে দেখতে প্রায় দিনের আলো অস্তমিত। আমরা গেলাম সানসেট পয়েন্টে। এটি পাহাড়ের অনেক উপরে। এখানেও আবার চোখ জুড়ানো দৃশ্য। পাহাড়ের গায়ে লাল সূর্য দেবতা অস্তমিত হচ্ছেন। নীচে সবুজ-নীল সমুদ্র। অপূর্ব নয়নাভিরাম প্রকৃতির এই খেলা। পাহাড়ের সিড়ি বেয়ে নেমে আবার এক অপূর্বঅভিজ্ঞতা। দুটি বিরাট, বিশাল ঈগল পাখি নিয়ে এক মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন। সে এক বিচিত্র অনুভূতি। আমি খুব খুশি সারাদিন এতসব প্রাকৃতিক অরণ্যর জীব জন্তুকে ধরতে পেরে, তাদের ছুঁতে পেরে। এরপর গাড়ী আমাদের নিয়ে হোটেলে ফিরে এল। সারাদিনের এই বিচিত্র অভিজ্ঞতা, অপূর্ব নয়নাভিরাম দৃশ্য আমাদের সারাজীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে।
আমাদের হোটেলের খুব কাছেই সুনামি পয়েন্ট। যেখানে ২০০৪ সালে ভয়ঙ্কর সুনামি হয়েছিল। চাক্ষুষ দেখলাম। ফুকেট আইল্যান্ড বেড়ানো প্রায় শেষ। তবে এখানে সেভাবে বাংলা রেস্তোরাঁ নেই। তবে অনেক Departmental Store আছে। আর আছে প্রচুর সামুদ্রিক মাছ, বড় চিংড়ি, লবস্টার, ক্র্যাব এইসব খাওয়ার সুযোগ। আর এখানে একটা জিনিস খুব বিখ্যাত থাই ম্যাসাজ। নানা ধরনের হার্বাল, ফ্রুট এইসব। আর এইসব ম্যাসাজ পার্লার, বার, ট্রাভেলএজেন্সি এমনকি হোটেলও সবই চালনা করেন সুন্দরী থাই ললনারা। হাসিমুখে সারাদিন অক্লান্তভাবে খেটে যান। এরপর দিন সকালে হোটেলে ব্রেকফাস্ট সেরে সকাল ৭টায় গাড়ীতে রওনা দিলাম এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে ব্যাংকক যাবার জন্য।
চলবে…