থাইল্যান্ড ভ্রমণের অপূর্ব অভিজ্ঞতা
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন
ফুকেত আইল্যান্ড
ফুকেত থাইল্যান্ড এর সবথেকে বড় আইল্যান্ড। এসি গাড়ি করে আমরা এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। দুপাশে অপূর্ব নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে দেখতে। পুরো আইল্যান্ডটাই পাহাড় ও সমুদ্র দিয়ে ঘেরা। প্রায় ২ঘন্টা পর আমরা লোকালয় শহর এলাকা ছেড়ে হোটেলে পৌঁছলাম। আমাদের হোটেলের নাম অ্যালবাম হোটেল। এটি পাটং বিচের ধারে তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থিত। থাইল্যান্ড এর সব হোটেলর চেকিং টাইম দুপুর ২টোয়। তাই আমরা লাগেজ হোটেলের স্টোর রুমে রেখে বিচে ঘুরতে গেলাম। সমুদ্রে স্নান সেরেও নিলাম। পাটং বিচের দৃশ্য অপূর্ব। সমুদ্রের পাড় সমান্তরাল আর দূরে দূরে সব পাহাড়। আনন্দ করলাম সমুদ্রের বড় বড় ঢেউগুলো সাথে। আমরা ওখানে পাইনঅ্যাপেল জুস্ খেয়ে সমুদ্রে নামলাম। আমরা প্রায় ঘন্টা দুয়েক সমুদ্রে স্নান করলাম। সারা রাতের জার্নির ক্লান্তি মুহূর্তে উধাও হয়ে গেল। সবাই বিদেশী কেবলমাত্র আমরাই বাংলাদেশী ছিলাম এই বিচে। বিদেশীরা কেউ কেউ খোলামেলা পোষাকে সান বাথ নিচ্ছে। কেউ কেউ আবার সমুদ্রে স্নান করছে। বিচে স্নান সেরে আমরা হোটেলে ফিরে এলাম। যখন আমরা হোটেলে এলাম ততক্ষনে হোটেলে আমাদের রুম রেডি হয়ে গেছে। আমাদের রুম হোটেলের পাঁচতলায় ছিল। সামনে বারান্দা আর সেখানেই দাঁড়ালে বাদিকে পুরো শহরটা, পাহাড় আর ডানদিকে সমুদ্র দেখা যেত। হোটেলের রুমে মিনি ফ্রিজ সহ, ওভেন, কফি, কুকিজ, ফ্রুট জুস ২৪ঘন্টা এই সবরকম সুবিধা ছিল আর ব্রেকফাস্ট ও কমপ্লিমেন্টারি ছিল।
এরপর সন্ধ্যেবেলা আমরা ফুকেত আইল্যান্ডটা দেখতে বেড়লাম। এখানে রাস্তায় একটা অন্যরকম জীবন। রাত দশটা থেকে ভোড় চারটে অবধি এই জীবন চলে। এখানে সবকিছুই লাগামছাড়া। বাধাবন্ধকতা বিহীন। এখানে প্রায় রাস্তারই উপরে কখনও বা সমুদ্রের ধারে ওপেন বারে ড্রিংক্স হাতে সুন্দরী নর্তকীরা নাচছে। এখানকার মেয়েদের প্রশংসা করতেই হয়। তাঁরা হাসি মুখে ড্রিংক্স সার্ভ করা থেকে অতিথিদের আপ্যায়ণ করা সবই করছে। কিন্তু একটা কথা বলতেই হয়, এখানে মেয়েদের সবাই সন্মান করে। স্বল্প বেশভূশা সুন্দরী থাই ললনাদের থেকে কেউ এতটুকু কটূক্তি বা কোনও অসন্মান করেন না। সবকিছুই বৈধ কিন্তু কোথাও একটা রাশটানা, সংযত ভাবে জীবনযাত্রা চলছে। এই সুন্দরী থাই ললনাদের সেলাম। তাঁরাই তাঁদের সংসার চালায়। এখানে রাজা এখন রামা ১০। এর আগে নয় জন পূর্বপুরুষ রামা বংশে রাজত্ব করেছেন। (চলবে…………)