ভ্রমণ কাহিনী

মোহাম্মদ জাহিদ হোসেনের ভ্রমন কাহিনী- থাইল্যান্ড ভ্রমনের অপূর্ব অভিজ্ঞতা

থাইল্যান্ড ভ্রমণের অপূর্ব অভিজ্ঞতা
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন


প্রথম খন্ড

থাইল্যান্ড ভ্রমণের অসাধারণ, অপূর্ব অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। থাইল্যান্ডে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ঢাকা থেকে আমরা ১৪এপ্রিল ২০১৭, এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। শাহজালাল আন্তজাতিক বিমান বন্দরে ফ্লাইট ছাড়ার প্রায় ৩ ঘন্টা আগে পাসপোর্ট, ভিসা, লাগেজ ইত্যাদি সব চেকিং এর পর অবশেষে সকাল দশ টার দিকে বিমান বন্দরে আসলাম তারপরে দুপুর একটা ত্রিশ মনিটে এ ফ্লাইট টেক অফ করল। আমরা থাই ইন্টারনেট এয়ারওয়েসের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলাম।
ফ্লাইট এর অভিজ্ঞতা ছিল খুবই মনোরম। এই এয়ারওয়েসে দেখলাম ডোমেস্টিক ফ্লাইট গুলোর মতো এয়ারহোস্টেসরা এমার্জেন্সি হলে কি করতে হবে বা সিট বেল্ট কি করে বাঁধতে হবে তা দেখল না। প্রত্যেক সিটের পিছনে ছোট ছোট ল্যাপটপ সেট করা আছে এবং রিমোট ও দেওয়া আছে তাঁর মাধ্যমে যাবতীয় নিয়মাবলী দেখে নিলাম। এর সাথে সাথে দেখলাম থাই এয়ারহোস্টেসরা খুব সুন্দর আর কিউট দেখতে। মুখে তাঁদের হাসি লেগেই আছে। টেক অফ করার পর এয়ারহোস্টেসরা আমাদের লান্চ সার্ভ করল। ভেজ ও নন-ভেজ লান্চের সাথে দুটো ডিশই খুব ভালো ছিল। আর সাথে ছিল সফ্ট ও হার্ড ড্রিংক্স আনলিমিটেড। লান্চ শেষ করতে প্রায় সময়টা কেটে গেল। এখানে একটা কথা বলে রাখি থাইল্যান্ড এর সময় আমাদের ঘড়ির সময়ের থেকে প্রায় এক ঘন্টা এগিয়ে। প্রায় ৩ ঘন্টা লাগল ব্যাংকক পৌঁছতে। সন্ধ্য বেলার সূর্য ডোবা – আমরা প্লেনের থেকে এক অপূর্ব দৃশ্য দেখলাম। ব্যাংকক এয়ারপোর্ট এক বিশাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। ফিফথ্ স্টোরেড এই এয়ারপোর্টে পুরোটাই চলমান সিড়ি ও চলমান রাস্তা রয়েছে, যাতে যাত্রীদের কোন কষ্ট না হয়। এয়ারপোর্টটি খুব জমজমাট। মনে হচ্ছে বিরাট কোনও শপিং মলে ঘুরছি। ব্যাংকক থেকে আমরা প্রথমে ফুকেত আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ব্যাংকক এয়ারপোর্টে সমস্ত নিয়ম মিটিয়ে যেমন ইমিগ্রেশন ফর্ম ফিলাপ করে, পাসপোর্ট, ভিসা চেকিং করিয়ে, ছবি তুলে অন্য একটি ফ্লাইটে করে ফুকেত আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ফ্লাইটে উঠে দেখলাম বেশীরভাগই আমেরিকান, বাংলাদেশী নেই প্রায় নেই বললেই চলে। ফ্লাইটের থেকে দেখলাম অপূর্ব এক দৃশ্য। আমাদের ফ্লাইটটা ইন্ডিয়ান ওসানের উপর থেকে যাত্রা করছে। আবার সেই থাই এয়ারহোস্টেসদের হাসি ভরা মুখ। তারপর তাঁরা আমাদের ডিনার সার্ভ করল। প্রায় দেড় ঘন্টা লাগল ফুকেত আইল্যান্ডে পৌঁছতে। রাত ৯ টার সময় আমরা ফুকেতে পৌঁছলাম।
(চলবে…………)

Related Posts