ঈশান বঙ্গে।
যুথিকা দাস।
ওগো ঈশান বঙ্গ জননী! অভাগার
কোনবা পূণ্যে জন্ম হল তোমার কোলে
জগন যীশুর ধাত্রী তুমি ওগো বঙ্গে।
ঈশান লক্ষ্মী তুমি, হে বরাক নমামি,
ধন্য হল অভাগার জন্ম, হিরে মুক্তা
সোনার ফসলে ঘেরা সবুজে সবুজে।
ভরে যায় প্রাণ মন, কল-কাকলীতে
ঘুম ভাঙ্গে শুনি তব ঝরণার গীতে।
রাজপথে ফেরিওয়ালার হাঁক দেখি
মুক্ত বাতায়নে। লক্ষ্মী পেঁচা ডাকে শুনি
শাপলা শালুকে ডোবা জলে, সাদা বক
হাঁটে আপন মনেতে।
কোন তিথি বার
মনেতে নেই গো আর, জন্মে তব কোলে
পেয়ে সুধা সম জলে তৃষ্ণা নিবারিতে
শীতল স্নিগ্ধতা পাই বুকে। বৃক্ষরাজি
সারি সারি পালন করেছ ছায়া দিতে
কত যুগের ক্লান্ত পথিকে। তুমি শিল্পী
তাই তো রেখেছ এঁকে রতনের বারি
হে বরাক নমামি, নমামি ওগো বঙ্গে।
তোমাকে রয়েছে ঘিরে গিরিতে গিরিতে,
উত্তরে বড়াইল ছায়া ভূবন পূর্বে,
দক্ষিণে মোহময়ী শহর আইজলে
পশ্চিমায় বাংলাদেশ প্রতিবেশী বেশে,
স্বরূপা অনুরূপা তুমি এ নবগ্রামে,
জন্মদিলে লক্ষ লক্ষ মাতৃপ্রেমী পুত্র
বুকে দিয়ে শতেক হস্তীর পরাক্রমে।
কাশ্মীর সংগ্রামে দিয়েছিল প্রাণ বলি,
ঊনিশ করেছে লাল এগারো তরুণে,
একটি পারুল ছিল সঙ্গে,দশ ভাই
চম্পা ভাষার সংগ্রামে।
এই শিলচরে,
আর বরাকের পারে ওরা খেলেছিল,
বুকের রক্ত দিয়ে খেলেছিল উৎসব!
হোলির উৎসব! পলাশ শিমুল আর
কৃষ্ণচূড়ার রাঙায় রক্তিম করেছে
তব বক্ষের আভূষন খানি! বরাক
নমামি আমি, অভাগা পুত্র তব আমি।
রচনা কাল:
১৭/১১/১৭