কল্পচিত্রে অকৃত্রিম
মোঃ হানজালা
অবসরে আমি তোমার ছবি আঁকব ‘জীবন্ত’
কল্পচিত্রে-
তারপর; তোমাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ রওনা দেব।
যেতে যেতে বহুদূর যাব-
পেরিয়ে যাব বহুপথ, বহুনদী, সব চেনাজানা;
যখন ভিতর জুড়ে ক্লান্তি আসবে,ভেঙে আসবে
হাটু-
অচেনা অপরিচিত নির্জন কোন দ্বীপে আশ্রয় নেব,
যেখানে তুমি আর আমি থাকব, আর কেউ না।
কোন বটবৃক্ষের নিচে তোমার কোলে মাথা রেখে
পরম শান্তিতে একটু ঘুমাব।
সেখানে থাকবে না যান্ত্রিক কোলাহল,
কোলাহলের পরিবর্তে থাকবে পাখির কলকাকুলি।
শহরের পচা নর্দমার দূর্গন্ধের পরিবর্তে থাকবে
দূরন্ত প্রজাপতির ডানায় দখিনা বাতাসে
বাহারী ফুলের সুঘ্রাণ।
একটা বিকেল আসবে,
সেই দ্বীপের সচ্ছ জলাশয়ে নীলকাশের তলে
ভেলায় চড়ে মহানন্দে ঘুরে বেড়াব।
কনক্রিটের মেকি আকাশ ছূঁই ছূঁই
দালান কোঠার পরিবর্তে সুউচ্চ পাহাড় থাকবে,
পাহাড়ের গাঁ বেয়ে ঝরবে ঝুরঝুর মনোরোম ঝর্ণা।
সেই ঝর্ণায় তুমি আর আমি স্নান করব।
ভিজে কাপড়-চোপড় ফেলে দিয়ে কলার মাতায়
লজ্জা ঢাকব। তারপর-
একটা গোধূলি আসবে সুউচ্চ পাহাড়ের ঠিক মাথায়
রুপার থালার মত একটা চাঁদ উঠবে, নান্দনিক জোছনা ছড়াবে, রাত গভীর হবে ঝিঁ-ঝিঁ এর তরঙ্গে
নেচে নেচে দু’জন দু’জনকে জড়িয়ে
স্বর্গীয় সংগীত গাইতে গাইতে
পাতার স্তরের উপর পরম আরামে ঘুমিয়ে যাব।
সেখানে থাকবে না জমকালো বিলাসবহুল
সুইমিংপুল, নজরকাড়া বেডরুম, আরামদায়ক বিছানা,
শীততাপনিয়ন্ত্রিত কোন বাতাস-
যা থাকবে সম্পূর্ণ অকৃত্রিম।