মুতাকাব্বির মাসুদের কবিতা রাতের কারচুপি আঁধার বনসাই বিলের ধারে মরণ যন্ত্রণায় কাতর নাদান বালিহাঁসের ডানায় দেখেছি বিদায়ী রোদের রক্তাভ বিষণ্ণ হাসি! ঘর ফেরা চড়ুইর চঞ্চুতে দেখেছি অজস্র কথার নহর পাখিরও আছে ঝরনার মতো চঞ্চল কিছু শব্দিত ভাষা কোল ঘেঁষা বালিয়াড়ির নদিত চোরাই বুকে চোরাবালিরও কিছু দুঃখ থাকে বিস্তারিত পড়ুন
Month: July 2020
রুমকি আনোয়ারের কবিতা সময় প্রথম সিকোয়েন্স – ক্ষুধার্তের কবিতা লিখে একটি রক্তাক্ত হাত যে হাত একদিন কামড়ে ধরেছিল নিজের হাত। দ্বিতীয় সিকোয়েন্স – হাতল দেয়া চেয়ারে চিন্তাক্লিষ্ট নেতা ধ্যানী শালিকের মতো। তৃতীয় সিকোয়েন্স – নো রিলিফ ফর বাংলাদেশ দে ডু বিজনেস উইথ কিউবা চতুর্থ সিকোয়েন্স বিস্তারিত পড়ুন
গোলাম কবিরের কবিতা শিরোনামহীন-১৪১ কখনো মনে হয় আমি যেনো কবিতার সংসারে একটা উড়নচণ্ডী মেঘ, কখনো রবীন্দ্রনাথের গান ভালবেসে আপন মনে গাইতে গাইতে স্বপ্নের ভিতরেই একডুব দেই নজরুলের কবিতা ও গানে। বুঁদ হয়ে শুনতে শুনতে চলে আসি কখনো জীবনানন্দ বাবুর কবিতায়, ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি সেখানে বাংলার অপরূপ রূপের বিস্তারিত পড়ুন
মালিপাখির ছড়া আমি আমি চিলেকোঠা ঘরে থাকি। আমি রূপকথা পাড়া আঁকি। আমি ঘাসফুল, আমি তারা। আমি চারাগাছ, আপনারা… আমি একরাশ ভালোবাসা। আমি কাছে এসো প্রিয় ভাষা। আমি ভাষাপথ বুকে জুড়ি। আমি রাঙামাসি, আমি ঘুড়ি। আমি একরোখা জেদি ঘোড়া। আমি আলো-আঁধারিতে মোড়া। আমি কাঁচপোকা জুঁই নদী আমি মাছরাঙা, কেউ বিস্তারিত পড়ুন
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা খতিয়ে দ্যাখো খতিয়ে দ্যাখো উপর তলার বস্তাতে কার কী আছে? কার গায়েতে চুলকানি যে সদ্য দেখা দিয়াছে? খতিয়ে দ্যাখো আসল বলে ডুপ্লিকেটে ভরতাছে, দুর্যোগে সব ফাঁক গলিয়ে ফন্দি ফিকির করতাছে। খতিয়ে দ্যাখো রাতের চোরে দিনের বেলা ফকফকা, লক্ষ কোটি গায়েব করে ডলার পাউন্ড চকচকা। বিস্তারিত পড়ুন
জুবায়ের জুবিলীর কবিতা বিধাতার খেল তুমি ভেবেছিলে সবকিছু পেয়ে গেছো, পেয়ে গেছো মস্ত আসন, অহংকারে পা মাটিতে পড়ে না তোমার, ক্ষমতাটা পেয়ে গিয়ে ভীষণ রকম, করেছো তুমি নিষ্ঠুর প্রতাপ প্রদর্শন, অন্যায়ভাবে-কারো না কারো, অন্তর-ঘর বিধ্বস্ত করছো যখন তখন, কথার অবিরাম প্রস্তর বৃষ্টিতে। এমনই ভাব তোমার- আমিই বিস্তারিত পড়ুন
অলোক আচার্যের কবিতা এই যান্ত্রিক শহর আমি প্রতিদিন চাই প্রচুর বৃষ্টি হোক ভাসিয়ে নিয়ে যাক সব, বিষাক্ত ধূলিকণা যা জমা হয়েছিল শতশত বছর ধরে এই শহরের বুকে। বিবর্ণ করেছে উল্লাসে মেতে থাকা আমাদের শৈশব- কৈশরকে। নির্জন-নিরপরাধ বিকেলগুলো এতসব সহ্য করতে পারে না বলে এ শহর ছেড়ে পালিয়েছে। কৃত্রিম শ্বাস নেওয়া বিস্তারিত পড়ুন
আসাদ বিপুলের কবিতা শেষ মিনতি আমার হৃদয় ভাঙ্গিয়া তুমি বাঁধিছো আজ অন্যের ঘর সারাটা জীবন খুঁজিয়া মরি রেখে দিলে আমায় পর। আমাকে করিছো আজ ছন্নছাড়া ঘুরি ফিরি দেশ-বিদেশ পাই না মনে শান্তি তবু বিরহে আজ হয়েছি নিঃশেষ। আমার স্বপ্নের নীড় ভাঙ্গিয়া তুমি চলে গিয়েছো অজানা দেশে কাঁদিয়া বেড়াই তোমার লাগিয়া সাজিয়া বিস্তারিত পড়ুন
মুতাকাব্বির মাসুদের কবিতা পাথুরে ভাগ্য পাথরে ভাগ্য সবার ফেরে আমার ফেরে না জন্ম থেকে পাথরের সাথে ঘরবসতি ;পাথর করেছি ফেরি আমার ভাগ্য পাথুরেই রয়ে গেলো- এ পাথরচাপা কপালে ‘পাথরে পাঁচ কিল’ দিনের শেষে ক্লান্ত গোধূলির ধূলোয় ওড়ে গেলো – কোথায় যায় কে জানে? এখানে দেখি সকালে বিকালে নেংটা বিস্তারিত পড়ুন
রুমকি আনোয়ারের কবিতা শিখণ্ডী এরা শিখণ্ডী, না ছেলে না মেয়ে জন্ম যাদের অভিশাপ, পৃথিবীর বুকে এরা স্বপ্নচারী নয়, এরা স্বপ্ন ভ্রষ্টা পুরুষ লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ,উভলিঙ্গ, ক্লীব লিঙ্গ কোন লিঙ্গেই নেই এদের বসবাস ভিক্ষে চাইতে হয় না এদের দু’টাকা,পাঁচ টাকা দিয়ে যত দ্রুত সটকে পরা যায়, বাজারেও এককেজি বিস্তারিত পড়ুন
মালিপাখির ছড়া ফুলের তোড়া ও আমার জলছবি গান, ও আমার ভোরের আঁখি, দ্যাখো না হৃদয় জুড়ে ওড়ে এক মোহর পাখি। ও আমার ফুলঝুরি ঢেউ, ও আমার সবুজ পাতা, সেজেছো? এবার তবে ভরে দাও লেখার খাতা! ও আমার ঝুমঝুমি পথ, ও আমার পথের আলো, এসেছো? ভালোই হলো, মনে আজ আবির ঢালো! ও আমার মাছরাঙা পুর, ও […]বিস্তারিত পড়ুন
অমৃতাভ দে’র ছোটগল্প দশমীর বিকেল:মেলবন্ধনের আনন্দমুখর ছবি দশমীর বিকেল। জলঙ্গী নদীর দুই তীরে তখন হাজার হাজার মানুষের ভীড়। আজ যে দুগ্গা পুজোর ভাসান। দুই পারের বেশ কয়েকটি গ্রামের পুজোমণ্ডপ থেকে মা দুর্গা তার সন্তান লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশকে নিয়ে হাজির ঘাটের ধারে। নৌকা করে ঘুরবে তারা। সঙ্গে আরও বিস্তারিত পড়ুন
মালিপাখির ছড়া এই মুঠোতে এই মুঠোতে অবাধ খুশি । চাঁদনি মনের আলো এই মুঠোতে তোমরা সবাই গানের মতো ভালো! এই মুঠোতে টুনটুনি,বক, ঢেউ মোড়া ধান পাখি এই মুঠোতে ডুগডুগি মন । একলা জেগে থাকি! এই মুঠোতে শাপলা পুরের রাখাল বাজায় বাঁশি এই মুঠোতে মোহর ছড়ায় কুরচি ফুলের হাসি! এই মুঠোতে বাজনা গাঁয়ের শিউলি বাতাস ওড়ে বিস্তারিত পড়ুন
রুমকি আনোয়ারের কবিতা আপেক্ষিক দীঘল কালো কেশ মেলে দিয়ে বলেছিলাম ”আবার এসো সুধাংশু” সুধাংশু রঙধনু মেলে দিয়ে বলেছিল- ”আসবো আবহাওয়া অনুকূল হলে।” তারপর মেঘ, বৃষ্টি, রোদ, সকাল-বিকেল দরিয়ার পানি শুকায়- এখন আমার চোখে চৈত্রের খরা। সুধাংশু এলে নিরুত্তাপ সময় খুঁজে- ফেলে আসা সময়ের বিস্তারিত পড়ুন
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর অণুগল্প আবদার বড় আশা কইরা দুইডা পোলারে বড় করছিলাম। গরীবের লেখাপড়া কফালে নাই। তবুও রাঢ়ী অইয়া যত কষ্টই না করছি। মাতবরের পুলাপানের গু-মুত সাফ করছি। জঙ্গলের লতা, ডোবার কলমী শাক, পাগারের মাছ নিয়া বেচছি, জিতু কন্টাকটরের মেসে রানছি, কিতাব আলীর ঘরে বান্দির কাম করছি, জমাদারের বৌয়ের বিস্তারিত পড়ুন
অলোক আচার্যের কবিতা অভিযোগ দিতে যদি হয় দিও এক ফালি চাঁদ সাথে থাকা জোৎ¯œার কি অপরাধ? নক্ষত্র ছোটার প্রতিযোগীতায় আমিও একজন সম্মুখ প্রান্তরে দাড়িয়ে সে কোন প্রান্তজন? মৃত তারাদের দলে ভিড়ে যাই দলবদলের এই তো সুযোগ সহসা কেউ প্রশ্ন করে কি ছিল তোমার অনুযোগ? সাংবাদিক ও লেখক পাবনা তারিখ: ০৯-০৭-২০২০বিস্তারিত পড়ুন