স্বেচ্ছাচারী মহাকাল আমার নিশ্বাসে কোনো বিশুদ্ধ ভোর নেই আমার আঙিনায় বিষবৃক্ষ রোজ আমাকে উত্যক্ত করে সুরভি মহুয়ার রসে আকণ্ঠ নিমজ্জমান আমি মাতাল ঋষি-নষ্টজলে তৃষ্ণা মেটাই মন্দিরের শুচি অন্দরে বিকৃত প্রার্থনে আমি এক চণ্ডাল আমি খুঁজেছি বিশুদ্ধ রোদের উত্তাপ নহলী ফুলের জন্মগুহায় আমি দেখেছি অধুনা ভোর বিস্তারিত পড়ুন
Month: October 2017
শামসুর রাহমানের স্বপ্নশাসিত কবিতা ড.এস এ মুতাকাব্বির মাসুদ কবি শামসুর রাহমান সম্পর্কে বলা হয় পঞ্চাশের দশকে আধুনিক বাংলা কবিতা চর্চার পর্বে তিনি ছিলেন একজন নিরীক্ষা ধর্মী লেখক। কবিতার দী দীক্ষা তাঁর প্রাগ্রসর মনের চারণভূমিকে যে মাত্রায় কর্ষণ করেছিলো সেখানে নিত্যসত্যের উৎসারণ তাঁর কবিসত্তার বিস্তারিত পড়ুন
নিরুদ্ধ সময় স্বপ্নের মিছিল যেন থমকে গেছে এখন বড়ো নিরুদ্ধ সময় বাতাসের গতি পাল্টে, সূর্যের জ্যোতি নিরেট, যাচ্ছে খুব অসময় বাতায়নে গন্ধ শুঁকি, মরুর লু হাওয়ার তপ্ত বিষবাষ্প নেশা চারদিকে থৈ থৈ পানি, ঈষাণের পাঠে আজ বিষাণের ধ্বনি বয়। হতাশা আঁচল ভাঁজে লুটোপুটি করে খুশি দূরাগত বিভীষিকা চোখের ভেতর চোখ বিস্তারিত পড়ুন
তোমায় ডেকেছি কতো তোমায় ডেকেছি কতো নিরবতা ছিল যতো অভিমানে মুখটি ঢেকে চলনে এঁকেবেঁকে- চেয়ে ঐ দূর পানে সদা ছিলে দূরে! বলেছি মনের কথা বুকভরা কতো ব্যথা ঝরেছে চোখের জল করিনি কভু ছল- তোমার শূন্যতায় হৃদয় শুধু পুড়ে। ডাকে দিয়েছিলে সাড়া কর্মে ছিল তাড়া শুনিয়ে শান্তনার বাণী চুপসে অভিমানী- বলেছিলে হৃদয় দরজা বিস্তারিত পড়ুন
মুক্তি ।। সা জু ক বী র ।। একুশে ফেব্রুয়ারি। দু ববছর পর আবার সবুজসহ প্রভাতফেরীতে যাবো, বেশ মজা হবে। প্রকৃতি তখনো পুরোপুরি আড়মোড়া ভাঙ্গে নি। জেগে কেবল চোখ কচলাচ্ছে। আমরা দু বন্ধু ফেরীর দিকে। কিয়দ্দূর এগুতেই এক মনুষ্যকণ্ঠের চেঁচিমেচির আওয়াজ কানে লাগে। চোট দেখাচ্ছে। ক্রোধের বারুদগুলো যেন জ্বলে বিস্তারিত পড়ুন
কালের পরিক্রমায় আমাদের সাহিত্য কিরণ আহমেদ প্রতিটি কল্যাণমূখী সৃজন শুধুমাত্র মানুষের ব্যক্তিক আনন্দোল্লাস বা স্বকীয় বাহ্যিক কিংবা আত্মিক কল্যাণ সাধন করে না বরং তা ব্যক্তি বিশেষকে এমন কি রাষ্ট্র কিংবা সময়কে অতিক্রম করে মানবের হীত সাধন করে, মানুষকে সভ্যতার পথে এক ধাপ এগিয়ে নেয়। বস্তু কেন্দ্রিক বিস্তারিত পড়ুন
অচেনা মানুষ ট্যাক্সি ধরলাম অফিসের সামনে থেকে । ক্লান্ত । তাই উঠেই সিটে শরীরটা এলিয়ে দিলাম । অনেক রাত হয়ে গেল আজ । হঠাৎ ড্রাইভারের সীটের পিছনে লেখা ট্যাক্সির নম্বরটা চোখে পড়তেই চমকে উঠলাম । মনে পড়ে গেল এক বছর আগেকার কথা । ট্যাক্সিতে উঠে বসতেই ড্রাইভার জিজ্ঞাসা করেছিল – বাবু , কোথায় যাবেন ? […]বিস্তারিত পড়ুন
রুদ্ধ চেতনা রক্ষিত নয় অার ঘরবার সংসার দস্যু আর দস্যি মেঘে ঢাকা রশ্মি চারপাশে মনুষ্য সব মাংসাশী পশু– মুক্ত দ্বার বন্ধ জ্ঞানীগুণী অন্ধ প্রমোদের স্রোতধারা নিপীড়িত গৃহহারা নিষ্প্রুভ দুরাকাশের ঝরিত অংশু । . জীবতরী কূলহারা যাত্রীরা দিশেহারা কোনকূলে নোঙর জলে স্থলে হাঙর ওৎপাতে নিশাচর লালচোখা বিস্তারিত পড়ুন
তাসের দেওয়াল কেমন এক গুমোট ধরা এ বাতাস শুষ্ক, পৃথিবীটাকে বুঝলাম আজ, তাসের দেওয়ালে বাঁধা সম্পর্ক বহর কেউ রাখেনা কারো খবর ঠিক যেমনটি রক্ত পিপাসু দানব চক্ষু। পরশ্রীকাতর বিষামৃত থালায়, পরমুখাপেক্ষী দানব ধর্ম আসলে না মানুষ নামের খোসায় কত মহা বিকৃত অতিমানব বাঁধে ঘর পুরো জন্মান্তর চৌদ্দ মহল ডুবে নিরেট বিস্তারিত পড়ুন
ছন্দে আগ্রাসন সেকালের ছন্দটা, গোলাপের গন্ধটা কোনোদিন যাবেনাতো মিলে যে পুকুর যতোই কাটো,হবেনা কখনো খাটো কেটে কেটে বড় করে দিলে যে। বাতাসের গতিপথ দাও যদি নাকেখত কোনোদিন হবেকি তা উল্টা? অনাদরে দূরে ঠেলে দাও যদি ছুঁড়ে ফেলে অশোভন হবেনাতো ফুলটা। মানুষের চাহিদাটা বুঝে করো কাটাছাঁটা না বুঝেই কেটে দাও বিস্তারিত পড়ুন
নিবিড় অনুরণে আজকে যখন ভাঁজ খুলেছি কষ্টগুলো উড়ুক হাওয়ায়- গানে শ্রান্ত চরণ- উদ্বায়ী ঘাস স্মৃতির প্রহর হোক না উদাস ভুল ফাগুনের তানে এখন তুমি কেমন আছো ডোবাও কি পা আলতো ঘাসের বনে উছলে ওঠো, আগের মত? আঙুল খোঁজো, ইতস্তত? নিবিড় অনুরণে।বিস্তারিত পড়ুন
আহ্বান তুমি যাবে?চল,আমার সাথে, তোমাকে সঙ্গে করে যাবো নিয়ে লতাপাতা, সবুজ শ্যামল ঘেরা মোদের রুপময় গাঁ। আঁকাবাঁকা মেঠোপথে নীলগিরি নীলাচলে চুপিচাপি নির্জনে বসে নীলাকাশ দেখাবো তোমাকে। নীলাকাশের এক চিলতি হাসি যুগ যুগ বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগাবে তোমাকে। তুমি যাবে?যাবে আমার সাথে? পাহাড়ীদের সরল জীবন যাপন বিস্তারিত পড়ুন
জীবনে অনেক কিছু হয়না পুনশ্চ কতদিন জোরে দৌঁড় দেইনি হাসিনি অট্টহাসিতে দু’বেলা গাইনি গান বাথরুমে আনমনে কণ্ঠস্বর যাইহোক ভাবিনি । . কতদিন দেখিনি সেই প্রিয় মুখ ভরা পূর্ণিমায় জ্যোৎস্নালোকে, বসিনি পাশাপাশি হাতেহাত– খুনসুটিগুলো ছিলো কত মধুর ! . কতদিন খাইনি ফুচকা চটপটি একটু বেশি টক ঝাল ছিলো বিস্তারিত পড়ুন
শিশুর ক্ষমা দেখলাম রাজপথে একটি শিশুর, ক্লান্ত এলোমেলো পায়ে নেই জোর। একাকী ক্ষুধার রাজ্যে নেইকো স্বজন, পিতামাতার আদরে হয়না ভোজন। বস্তির দুঃখিনী ডাকে কালাচাঁদ, ভিক্ষার ঝুড়ি হাতে নৈশপ্রভাত। মানুষ দেখে দেয় বৃথাই সালাম, জীবনের প্রয়োজনে করে সংগ্রাম। সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু বেঁচে থাকা দায়, একদিন ডাষ্টবিনে বিস্তারিত পড়ুন
প্রাণালাপ হেটে যায় যে পথ সুরেলা কন্ঠে অবিরত ধারায় কালের সমীপে সূর্যস্নাত নগর ভেসে ওঠে মহাসমুদ্রে। কিংবদন্তি ভালোবাসায় সে সুখ আজও অম্লান ভোরের শিশিরে অট্টালিকার কাঁচের জানালায়। আবার বিন্দু বিন্দু ঘামে রোদ ঝলসিত মুখ চেয়ে দেখে দূর আকাশ… মেখে নেয় উত্তপ্ত জীবন পরশ। গতিময়তায় ছন্দিত বৃক্ষরাজি বিস্তারিত পড়ুন
মিনতি হে পৃথিবী, আমাকে নিয়ে হেসোনা অবজ্ঞার সুরে ঢেকুর তোলোনা কষ্ট হয় খুব। জানি,আমি হাত দিয়ে কিছু করতে কিংবা- পা দিয়ে হেঁটে বহুদূর যেতে পারিনা। কারণ – আমার হাত নেই,পা নেই তাই বলে ভেবো না,আমি অচল,খোঁড়া আমিও হাঁটতে পারি,মনের উপর ভর করে। ” পথ চলতে গেলে পড়ে যাই কিংবা হোচট খাই,কিছুই দেখিনা কারণ বিস্তারিত পড়ুন