মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর অণুগল্প দ্রোহ দুই টাকা ভিক্ষা না দিয়ে চাচ্ছিলাম ওনাকে একটু আাশপাশের জঙ্গল পরিস্কার করিয়ে বেশি পরিমানে টাকা দিলে একটু বাড়তি কিছু পাবে। কিন্তু উনি নারাজ। শরীর দুর্বল। বয়েস অইছে। কামকাইজ বালা লাগে না। তাইলে কি ভিক্ষা করতে বালা লাগে? সহালে বিশ টিয়া ফাইছি। নাস্তা করছি। অনহে হাতে বিস্তারিত পড়ুন
ছোটগল্প
অমৃতাভ দে’র ছোটগল্প দশমীর বিকেল:মেলবন্ধনের আনন্দমুখর ছবি দশমীর বিকেল। জলঙ্গী নদীর দুই তীরে তখন হাজার হাজার মানুষের ভীড়। আজ যে দুগ্গা পুজোর ভাসান। দুই পারের বেশ কয়েকটি গ্রামের পুজোমণ্ডপ থেকে মা দুর্গা তার সন্তান লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশকে নিয়ে হাজির ঘাটের ধারে। নৌকা করে ঘুরবে তারা। সঙ্গে আরও শ’খানেক নৌকা ভাসে জলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে নৌকোয় উঠবে অনেকেই। নদীর […]বিস্তারিত পড়ুন
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর অণুগল্প আবদার বড় আশা কইরা দুইডা পোলারে বড় করছিলাম। গরীবের লেখাপড়া কফালে নাই। তবুও রাঢ়ী অইয়া যত কষ্টই না করছি। মাতবরের পুলাপানের গু-মুত সাফ করছি। জঙ্গলের লতা, ডোবার কলমী শাক, পাগারের মাছ নিয়া বেচছি, জিতু কন্টাকটরের মেসে রানছি, কিতাব আলীর ঘরে বান্দির কাম করছি, জমাদারের বৌয়ের খেতা দুইছি। জানডার দিগে চাইছি না। অষ্টআশির […]বিস্তারিত পড়ুন
জোছনায় ফেরারী চাঁদ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ “হৃৎপিণ্ডটা স্তব্ধ। দোহাই জ্বালাবেন না।” পোস্ট দেবার পর পরই তিন হাজার লাইক। কমেন্ট পড়ে সময় নষ্ট করার জন্য সময় হাতে নাই। অনর্থক লাইক পেতে পছন্দও করি না। কারো কারো কমেন্টের শব্দ, বানান ভুল দেখলে দয়া হয়। আগ বাড়িয়ে কিছু বলে ফেললাম, তো কেউ কেউ ক্ষেপে গিয়ে একটা কিছু বলেই ফেলেন। […]বিস্তারিত পড়ুন
আজকের অতিথি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পারুর কাছে কেউ যাচ্ছে না। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছেই। করোনা নামের অদৃশ্য ঘাতক বেশ ভালো আতিথেয়তা পাচ্ছে কারো কারো কাছে। কিন্তু পেটের দায় কি মানে? শহরের মালঅলা, পাত্তিঅলা, বখরাঅলা, শান্ত সুবোধ, অশান্ত, আমলা…কেউই না। সবাই সামাজিক দুরত্ব মাপে। পাতিলের তলা ঘেঁটে ট্যাপি বোরোর ভাত আর লাল আলুতে শিং মাছের ছালুনের খায়েশটা মরে […]বিস্তারিত পড়ুন
অবশেষে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ডাক্তার সাহেব আপাতত চেকাপে’র পর ওষুধ দিলেন। তারপর মিসেস কেরামত দুশো টাকা কম দিলে ডাক্তার একটু বিরক্তিকর চাউনি দিলেন। ভিজিট তো দিলেন না । আবার ঔষধের দাম দুশো টাকা কম। আমরা মফস্বলের ডাক্তার বলে? মিসেস কেরামত দুশো টাকা কম দিয়েই ছাড়লেন। বললেন, যাবার সময় ভিকুয়ার কাছে ঝাড়ফুঁক করিয়ে নেবেন । ওখানে ভিকুয়ার […]বিস্তারিত পড়ুন
প্রেম একটি কালো গোলাপ মোহাম্মদ হোসেন মন আছে যার কেয়াবনে,কী করবে তার কেত্তনে। হাসানের মধ্যে নিলা খুঁজে পেয়েছে ওর মন ছবিরই প্রতিচ্ছবি এবং হয়ত তার চেয়েও বেশিকিছু । হাসান হচ্ছে ওর স্বাপ্নিক পুরুষ , যার কথা ভাবলে ও নির্ভার অনুভব করে। তাই তো মিলা যতই বুঝাক, নিলা বুঝে না। মিলা যতই নীতিকথা ঝাড়ুক, নিলা কানে […]বিস্তারিত পড়ুন
বৃষ্টিবাড়ির সবুজ আঙ্গিনা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আমাদের বাড়িটা যখন একচালা একটা ঘর থেকে চৌচালায় উন্নীত হল- পুরনো মেহগনি, জাম, কড়ই, নিম, নাড়কেলরা সাক্ষী। গ্রিল ছাড়া জানালা, বিদ্যুৎ নেই, টিউবঅয়েল স্থাপন করা হয়নি; নির্জন পতিত নিচু জমিতে কেবল প্রেমকাঁটা, দু একটা চারাগাছ, চারপাশে কলাপাতার বেড়া, অনেকে বলেছে ওটা ভূতুড়ে জায়গা- ফসল হয়না। সবাই মরা পশু-পাখি ফেলে রাখত। […]বিস্তারিত পড়ুন
ড্রাফট রাইটার কিরণ আহমেদ হ্যাঁ! ভুল নয়। সেদিন দেখেছিলাম। মনে হয় এইতো সেদিন। অথচ কয়েক বছর হয়ে গেছে! একটি ছবি। ছবির চরিত্রটি যেন আবহমান কাল ধরে সবুজ ভূমিতে স্বপ্ন চাষ করে চলেছে। আমি শুধু তোমার পেছন দিকটি দেখেছিলাম। কিন্তু খুব সাদামাটা অথচ কী নিখাদ সুন্দর ছিলো, যার প্রকৃত ভাষারূপ দেওয়া আমার সাধ্যাতীত। না, তোমার মুখটা […]বিস্তারিত পড়ুন
ডায়মন্ড নেকলেস মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কেন আসছেন? একটু তাড়াতাড়ি বলেন। সময় কম। বলব। মানে- আসলে কিভাবে যে বলি। আহ্হা- অত থরোবড়ো করতেসেন কেন? বলে ফেলেন। মানে দুটো পেঁয়াজ হবে? পেঁয়াজ? হ্যাঁ আমার পেঁয়াজ ছাড়া মামলেট খেতে ভাল্লাগেনা তো, তা-ই। বাসায় কিছু ছিলো। শেষ। বাজারে গিয়েছিলাম। তিনশ টাকা কেজি! ঠিক আছে। সে না হয় হবে। আসলে কী […]বিস্তারিত পড়ুন
নিঃসঙ্গতার বৈরী হাওয়া মোহাম্মদ হোসেন অপরিচিত নম্বর থেকে আসা কল রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসে একটা ভরাট পুরুষকন্ঠ। গলাটা চেনা চেনা লাগছে। তবু সাদিয়া ঠিক বুঝতে পারে না কে কথা বলছে। ওর মনে হয়, এটা মি. সোর্সের গলা। এ সময় দেয়ালে সেঁটে থাকা একটা টিকটিকি টিকটিক করে উঠে ভারিক্কি চালে। এটা শুনে […]বিস্তারিত পড়ুন
শিশির-বিন্দু ইয়াছিন আরাফাত অপূর্ব শিশির ছিল গাঁয়ের একেবারে অসাধারণ একজন বালক, ও কারো সাথে মিশতো না, খেলতো না, মিলতে চাইতো না, ওর ইচ্ছেগুলো ছিল ওর মত অসাধারণ। তাই পাড়ার ওর সমবয়সী সব বালকরা সব সময় তাকে এড়িয়ে চলতো, ওতে তার খুশি অথবা দুঃখী হওয়ার কোন চিন্তা জাগতো না। এই অসাধারণ বালকটা একদিন দুপুর বেলায় বসে […]বিস্তারিত পড়ুন
ভালোবাসার সহমরণ মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন দিনের আলো আস্তে আস্তে মৃদু হয়ে এলো। প্রবাহমান বাতাস আস্তে আস্তে ভারী হয়ে গেলো। নিজেদের ছায়া আস্তে আস্তে ঘন হতে লাগলো। অবাক করা কাণ্ড কোথাও ঝড়ো হাওয়া টের পাওয়া গেলো না। আকাশে কোনো বিদ্যুৎ চমক দেখা গেলো না। চারিপাশে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চিহ্ন মাত্র চোখে পড়লো না। এইবার তাঁরা উঠে […]বিস্তারিত পড়ুন
এভাবেও প্রতিশোধ নেয়া যায় মনি রায় ঘোষ সেই ছোটবেলা থেকেই মলি দিদির বাড়িতে থাকে। মলি আর পলি দুই বোন। পলি বড়। খুব ছোট থেকে বললে ভুল হবে। তখন ক্লাস নাইনে পড়ে মলি। পাড়ার একটা ছেলের সাথে মেলামেশা করতে শুরু করেছিল।ছেলেটা মোটেও ভাল ছেলে ছিল না। না করত পড়াশুনা না করত কাজবাজ। সারাক্ষণ টই টই করে […]বিস্তারিত পড়ুন
শুধুই অন্ধকার মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন প্রচন্ড ব্যাথা উঠেছে আমার হার্টে । আমার হার্টে আগে থেকেই রিং লাগানো ছিল । আজ হঠাৎ করে তীব্র ব্যাথা উঠেছে। কোন ভাবেই যেন ব্যাথাকে আর সহ্য করতে পারছি না । তাই বাধ্য হয়েই পাশের বাসার মামুন সাহেব কে ডাকলাম। সে এসে তাড়া তাড়ি একটি এ্যাম্বুলেন্স ডাকলো। প্রায় 30 মিনিটের মাথায় […]বিস্তারিত পড়ুন
উপবৃত্তির টাকা মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ গল্পের নায়ক আবুল কালাম। অফিসে বসে স্টাফদের সাথে একটানা কথা বলেই যাচ্ছে। – মন চায় না আর অফিসে আসি। একটানা অফিস করতে করতে ক্লান্ত। গত কয়েকদিন যাবত অসুস্থ। আর আপনারা? – বলা নাই, কওয়া নাই, অনুপস্থিত। চাকুরীর টাকা হালাল করে খাবেন। হালাল না খেলে নামায রোযা কবুল হবে না। টাকা […]বিস্তারিত পড়ুন