মুতাকাব্বির মাসুদের একগুচ্ছ কবিতা একজীবনের গল্প তোমার সময় আর আমার সময় কখনো এক হবেনা নন্দিনী! নিত্যানন্দ এখন আর আগের মতো নেই! সে এখন মহুয়ার শরবতে বিভোর! তার নেই প্রেম-নেই বিরহ! সে বুঝে গেছে দূরে থাকার মজাই আলাদা! তবে একদিন তুমিও বুঝবে কাছে থেকে দূরে থাকার কী যে জ্বালা! তখন সব কথা- চিত্ত ব্যথা, বিস্তারিত পড়ুন
কবিতা
গোলাম কবিরের দুটি কবিতা মানুষের হৃদয়ে প্রেমের আকাল কোথায় প্রেমিকের চোখের মুগ্ধতা? আমি তো দেখি শুধুই লোভী শিয়ালের মতো ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টিপাত! কোথায় লুকিয়ে আছে প্রেমিকার সলাজ রক্তিম টোল পড়া গালের অদ্ভুত সুন্দর রহস্যময় হাসি? আমি তো এখানে দেখি শুধুই ভালবাসার নামে প্রতারণার ফাঁসি। কোথায় হারালো প্রেম জর্জর হৃদয়ের আকুতি? এখানে এখন শুধুই ভাদ্র মাসের […]বিস্তারিত পড়ুন
শিখা গুহ রায়ের কবিতা ধুঁকে ধুঁকে মরণ আজ উদাস হাওয়া এসেছিলো ভেসে ভাবছি শুয়ে, শূন্য বিছানাতে, হাত বাড়াই, এপাস ওপাস করি, এক দিন চলে যাব অস্থির জগৎ ছেড়ে বহুদূরে দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে। ভেবে দেখ!কী পেলাম, কী-বা হারালাম! এখানে এসে চাঁদের সাথে জেগে থেকে দুপুরবয়সী সুর ভাঙা কলসির জল। কাকের ডানায় কোকিল সাজে, পর্দায় চরিত্র ঢাকে […]বিস্তারিত পড়ুন
রুদ্র অয়নের কবিতা তুমি আজ অন্য কারও তোমার আমার বিচ্ছেদের অনেকটা সময় অনেকগুলো দিন-মাস বছর পেরিয়ে গেছে তবু আজ জানতে ইচ্ছে করে, কেমন আছো তুমি? তোমাকে বুঝি আজও কেউ ভাত মেখে খাইয়ে দেয়? নিজের বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে আজও হয়তো তোমাকে আলো দেয় কেউ। হয়তো নিজের কষ্ট সয়েও তোমাকে সুখি দেখতে চায়। রাগ করে গ্লাস ভাঙার […]বিস্তারিত পড়ুন
মুতাকাব্বির মাসুদের কবিতা নায়ক তালি দেয়া স্যান্ন্ডেলে যুবক হাঁটে রোদের রুপোলী আগুনে পুড়ে সময়ের নায়ক! হলুদ করবী খেলে মাতাল আগুনের শিষে যুবক খুঁজে বিপন্ন জামদানী বনশিমুলের তলে! রুদের রুদ্র দ্রোহ খেলে তার নীলনীল সুতো ওঠা জিন্সের পেন্টে চোখে কালো চশমা বদলে ফেলে হোঁচট খাওয়া নিলামি শহরের আদল! দিনের কুশলী ব্যস্ততা;কোলাহলমুখর সন্ধ্যার শরীর নিজেকে হারায়ে হয় […]বিস্তারিত পড়ুন
রুমকি আনোয়ারের কবিতা উদ্বাস্তু বিশ্বাসের ভিটে-বাড়ি থেকে বিশ্বাস উধাও হলে পরে জন্ম নেয় উদ্বাস্তু- এক, দুই তিন হাজার অযুত ক্ষেত্র বিশেষে কোটি ছাড়িয়ে যায় হেসে চলে কিছু বিজাতীয় কুকুর তখন ”যাক ভেগেছে।” শামসুর রাহমান লিখেছিলেন- ”সুধাংশু যাবে না” আমিও বলি যাবে না হিমাংশু , অলোক কিংবা রেনুকা দি কেন যাবে তোমরা শিকড় উপড়ে ফেলে কেন […]বিস্তারিত পড়ুন
গোলাম কবিরের দুটি কবিতা ইসলাম ধর্ম এবং একটি নারিকেল ইসলাম ধর্ম কী? মনে করো একটি নারিকেলের কথা! শুধু এর বাইরের শক্ত আবরণ দেখে নিরাশ হয়ো না। বাইরের শক্ত মসৃণ আবরণ সরিয়ে আরো গভীরে প্রবেশ করো। পেলে না কিছু? এখানে নয়, আরো গভীরে ডুব দাও! খোসা ছাড়িয়ে কষ্ট করে চারিদিকে পরিষ্কার করে ভেঙে দেখো! এখন পেলে […]বিস্তারিত পড়ুন
রুদ্র অয়নের দুটি অণুকবিতা ভালোবাসার অভাব ওয়াদা করে ভাঙবে তুমি এটা তোমার স্বভাব, তোমার মনে আমার তরে ভালোবাসারই অভাব। নীল বেদনা চারপাশে সোনা রোদ্দুর হাসি খুশির উচ্ছ্বাস, তুমিহীনে শূন্য এই বুক নীল বেদনার বসবাস!বিস্তারিত পড়ুন
মুতাকাব্বির মাসুদ’র কবিতা সুরসুন্দরী যা-কিছু মূল্যবান তোমাকে করে তুলে দামি সোহাগি-পরিপাটি তুমি ঈশ্বরের অতুল কুদরতি সৃষ্টি অমরার সুরসুন্দরী মূল্যবান সব কিছু পায়েই রাখো আর যা-কিছু লাল-নীল মূল্যহীন কাগজের পাতা তা তুলে রাখো মাথায় আর কপালে! কী অদ্ভুত তোমার সুন্দরের রীতিবৈর বন্দনা! কী অদ্ভুত এ জীবনের ধারা ‘মূল্যহীন’ মাথায় আর কপালে ‘মূল্যবান’ ঠাঁই নেয় বিস্তারিত পড়ুন
রুমকি আনোয়ার’র কবিতা আমার কবিতারা শব্দেরা জাগে নি আজ উপোষী বন্দরে – জং ধরা তালা শ্যাওলায় কাতরায় শরীর। অসফল স্বপ্নে মোড়া নীল বিব্রত মুখে প্রাচীন হাসি- যদি বা ফিরে গৌরব তবে তা হবে দ্বিতীয় উত্থান। আমি এক অস্থির নাবিক অসহ্য উম্মাদনায় প্রতিদিন ভেসে যাই, বিগত দিনের শোক গাঁথা নিয়ে অগ্নি রচিত হয় না কখনো নিষিদ্ধ […]বিস্তারিত পড়ুন
গোলাম কবির’র কবিতা খুব ভালো আছি, মা! যখন তুমি মোবাইলে জিজ্ঞাসা করো কেমন আছি? আমি তখন ভয়ে ভয়ে অনেক সময় মিথ্যে করে বলি, “খুব ভালো আছি, মা! ” আসলে কী ভালো থাকা যায় কখনো এই দারুণ দূঃসময়ে! যখন রাস্তায় বেরুলেই দেখি সব নষ্টের উৎসব চলছে ধুন্ধুমার, কোনো বালক বয়সী ছেলের হাতে জ্বলতে দেখি উৎকট গন্ধ […]বিস্তারিত পড়ুন
অলোক আচার্য’র কবিতা শকুন আজকাল নাকি সমাজে কমে গেছে শকুনের উৎপাত। ওরা নিশ্চিহ্ন হয়েছে, মাংসের লোভে তীক্ষ্ণ চোখে এখন আর অপেক্ষা করে না; শিকার কখন ঠুকরে খাবে- সত্যি কি কমেছে শকুন? নাকি যা হয়েছে তা হিংস্রতার রূপান্তর মাত্র? শকুনের সত্তা ধারণ করে আজও সমাজে কত শকুন ঘুরে বেড়ায়! যাদের চোখে রাজ্যের হিংস্রতা থাকে প্রতিনিয়ত খুঁজে […]বিস্তারিত পড়ুন
রুদ্র অয়ন’র কবিতা যদি আমার হও তুমি আমার এমনই একজন যার ভালোবাসার প্রত্যাশায় অপেক্ষা করতে পারি সারাটা জীবন। শত-সহস্র বছর। তোমায় একনজর দেখার অভিপ্রায় হাঁটতে পারি আমি শত-সহস্র মাইল পথ। তোমার মোহনীয় পদ্মকোমল চোখে চোখ রাখতে আমি পলকহীন থাকতে পারি অহর্নিশি। তোমার মেঘকালো এলোকেশের গন্ধে প্রেমের আবেশ ছড়াতে থাকে আমার অনুভূতিতে, আমি তার প্রতীক্ষায় নীরবে […]বিস্তারিত পড়ুন
মুতাকাব্বির মাসুদের কবিতা সুখেরও কষ্ট আছে দোয়েলের ডানায় শিশিরের জলকেলি ক্লান্ত ভোরের জল নাই নদীর মতো হিমশীতল চোখ সবুজ খড়ে ঢাকা শান্ত ঝিলের নমনীয় বুক দ্রোণি কাঁধে কোমর ভেজানো নতুন বধূর ধ্রুপদ শরীরে নিশিক্লান্ত সুখের ঢেউ আর কমলার কোয়ার মতো ঠোঁটের কোণে রাতজাগা কইতরের হাসি – আমার চির চেনা স্বদেশ! রোদের দাম্ভিক শরীরে লেলিহান স্বেদ […]বিস্তারিত পড়ুন
মালিপাখির কবিতা শিকড় তুই শিলালিপি। দোপাটির চারা। তাই বুঝি পথে বাজে বাঁশি তারা ! ফোটে গান, ছোটে ঘামে ভেজা মোহ … তোকে খুঁজি কেন? ভুলে গেছি ওহ! তোকে পেলে আমি, জানি সব পারি! তোর সাথে ভাব! তোর সাথে আড়ি! তুই শিলালিপি! মরিচীকা মাসি! তোর কথা ভেবে কাঁদি আর হাসি! পথ ভেঙে গেলে, ভাঙা পথ গড়ি! […]বিস্তারিত পড়ুন
রুমকি আনোয়ারের কবিতা বয়স অনাঘ্রাতা ফসলের গন্ধ চারিদিক ঘ্রাণের লবনে পোড়ে মোমের শরীর। তিন বিঘা জমি তার লাঙ্গল কর্ষণে ভরাডুবি হবে বুঝি নাজুক তরীর। কাল যায় অশ্বারোহী , যায় কালবেলা সঞ্চয়ে কিছু না শুধু অবেলার গান। কোমল গান্ধার বাজে বেহালার তারে ফসলের গন্ধে লাগে বয়সের শান।বিস্তারিত পড়ুন