রুমকি আনোয়ারের কবিতা বয়স অনাঘ্রাতা ফসলের গন্ধ চারিদিক ঘ্রাণের লবনে পোড়ে মোমের শরীর। তিন বিঘা জমি তার লাঙ্গল কর্ষণে ভরাডুবি হবে বুঝি নাজুক তরীর। কাল যায় অশ্বারোহী , যায় কালবেলা সঞ্চয়ে কিছু না শুধু অবেলার গান। কোমল গান্ধার বাজে বেহালার তারে ফসলের গন্ধে লাগে বয়সের শান।বিস্তারিত পড়ুন
মাহবুবা করিমের কবিতা প্রেমিকা যখনই উৎসব হৈ হৈ রৈ রৈ আতশবাজি প্রেমিকাকে আচ্ছামত শরীরে জড়িয়ে ডুমরু বাজাতো ছেলেটি; ছেলেটির, একটি-ই প্রেমিকা; কান্নায় শোকে বুকে পাথর রেখে নিজেকেই চিপরে, ব্যর্থতার জল খসিয়ে শুকোতে দিত রোদে, প্রেমিকাটিকে ভাঁজ করে তুলে রাখতো ঈদ বা পুজোর জন্য। ঈশ্বরজন্মা পুরুষ যেহেতু পুরুষ ঈশ্বরজন্মা আর নারীর উরুতে বাঁধা ধৈর্যের তাবিজ তবে […]বিস্তারিত পড়ুন
শিখা গুহ রায়ের কবিতা সুখের বিলাপ দেহের প্রাচীরে ঝুলছে দুঃস্বপ্নের তাবিজ। দীর্ঘশ্বাসের দহনে পুড়ে স্বপ্ন সঙ্গিহীন পুষে রাখি পাখিরচোখ। আহত বিকেলের কাঁধে ভর করে চলে দুঃস্বপ্নের রাগ! ভুলগুলো ভুলে যায় স্বপ্নরা চেয়ে দেখে কষ্টের কালো রাত। নিষ্প্রাণ ঢেউয়ের নদী! শুঁকনো খরখরে বালিয়াড়ি স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নরা হেঁটেচলে সমান্তরাল! ছলনার রঙ লাল-নীল-হলুদ-বেগুনী আকাশ গেয়েছিল রংহীন শ্রাবণ। বিস্তারিত পড়ুন
গোলাম কবিরের কবিতা তবুও কী সুন্দর এই বেঁচে থাকা প্রতিটি নদীর বাঁকের মধ্যে যেমন লুকিয়ে থাকে তার হৃদয়ের না বলা কষ্টের প্রবল ভাঙন ঠেকানো ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য চেষ্টা! আমিও তেমনি কতোবার নিজের ভাঙন ঠেকিয়েছি একাকী মধ্যরাতে ম্লান জ্যোৎস্নায়, নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা জানিয়েছি দূরতম আকাশের একাকী নক্ষত্রদের দেখিয়ে, কখনো বা বুঝে গেছি জীবনের কঠিন সত্যি! মেনে […]বিস্তারিত পড়ুন
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর অণুগল্প দ্রোহ দুই টাকা ভিক্ষা না দিয়ে চাচ্ছিলাম ওনাকে একটু আাশপাশের জঙ্গল পরিস্কার করিয়ে বেশি পরিমানে টাকা দিলে একটু বাড়তি কিছু পাবে। কিন্তু উনি নারাজ। শরীর দুর্বল। বয়েস অইছে। কামকাইজ বালা লাগে না। তাইলে কি ভিক্ষা করতে বালা লাগে? সহালে বিশ টিয়া ফাইছি। নাস্তা করছি। অনহে হাতে চল্লিশ টিয়া আছে। আর বিশ টিয়া […]বিস্তারিত পড়ুন
চোখ রাঙিয়োনা মুতাকাব্বির মাসুদ (উৎসর্গ- শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৪৪তম ‘মৃত্যুদিন’এ প্রিয় কবি কাজী নজরুল) চোখ রাঙিয়োনা তোমার দেখানো পথে হাঁটছি তোমার শেখানো কথাই বলছি শূন্য থেকে নেমে মাটির ভাঁজে ভাঁজে মরণ যন্ত্রণায় নির্গত স্বেদে নীল নীল কষ্ট বুনে যাচ্ছি জেনেছি আমি যেখানে থাকো তুমি অতি উচ্চতায় তুমি ততো উচ্চ নও শিখরে বসলেই শিখরস্পর্শী হওয়া যায়না চোখ রাঙিয়োনা […]বিস্তারিত পড়ুন
নিরজনে হেরে গেছি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দেখলোনা অরণ্যের শ্যামঘণ ছায়ারঙ মেললোনা প্রজাপতির ডানায় আঁকা সব কটা সুখ মুখগহ্বরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে অনুকীট; ফুসফুসের অলিগলি পোড়ে নিকোটিনে, দেহের নদী নালা ক্লিষ্ট। সবুজ সংবাদগুলো জরাজীর্ণ; চোখের কাঁচে ঠিকরে পড়া রোদ গিয়েছে সরে, ধেয়ে আসা এক একটা তারাখসা পৃথিবীটার জঠরে লুকানো সুখ করেছে হরণ; আগামীকালের আততায়ী জানালায় সুখের […]বিস্তারিত পড়ুন
রুমকি আনোয়ারের প্রবন্ধ নজরুল সাহিত্য এবং নারী আমি আমার এক প্রবন্ধে লিখেছিলাম কবিরা ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে নয় ,অভিশাপ নিয়ে জন্মেছে- নয় শেলি ,কিটস ,বায়রন চলে যায় অকালে, কেন অপঘাতে মৃত্যু হয় রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দের কেনই বা সুকান্ত ক্ষয়রোগে ধুকে ধুকে ক্ষয়ে যায়। নজরুল কেন মূক আর বধির হয়। আজ নজরুল সম্পর্কে লিখতে গিয়ে তাই […]বিস্তারিত পড়ুন
গোলাম কবিরের কবিতা কাম ও প্রেম যখন কারো চোখে পড়লো চোখ! অমনি সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো, আহার, নিদ্রা, স্নান সব টুটে গেলো, চোখের সামনে শুধু ভেসে ওঠে ঐ মুখ আয়না ছাড়াই, বুকের ভিতরে কামনার আগুন জ্বলে সর্বদাই জীবন্ত কোনো আগ্নেয়গিরির মতো, ওটাকে প্রেম বলা! ভুলে যাও তুমি! ওটা প্রেম নয়, কাম! যখন কেউ কোনোদিন চোখে […]বিস্তারিত পড়ুন
মালিপাখির ছড়া আমি জেগে দেখি আকাশের বোন নীল ঢেলে বলে সামনে কে? দোপাটির চারা বেড়ে বেড়ে জলে নাম লেখে! আকাশের ভাই হুস্ করে যায় হাঁস এঁকে পাহাড়ের চূড়ো সেই চিঠি পায় ঘাস থেকে! চারিদিকে মায়া , হও তার মানে চুপ যদি! জলছবি আঁকে কবিতায়, গানে রূপ নদী! ডিঙি গুলি ভাসে সোনা নদীটার কূল ধরে! আমি […]বিস্তারিত পড়ুন
অলোক আচার্য শুধুই অন্ধকার এখন পৃথিবীর বুক জুড়ে শুধুই অন্ধকার হাজার বছরের রাত এসেছে নেমে সেদিন বিকেলগুলো ছিল নিস্পৃহ সন্ধ্যার আকাশে ওড়েনি শঙ্খচিল খোলা ছাদে বসে রোমাঞ্চিত হয়নি সদ্য প্রেমে পড়া কোনো প্রেমিক জুটি। গোধূলির আলোয় হেঁটে চলা পথিক পথ হারিয়ে হঠাৎ থমকে দাড়ায়। যেন কতকাল ধরে থমকে আছে পৃথিবী এ আঁধার শুরু হয়েছিল, যেদিন […]বিস্তারিত পড়ুন
আসাদ বিপুলের কবিতা আধুনিক নগর জীবন কাকডাকা কোনো এক প্রভাতে ঘুমহীন দু’চোখে স্বপ্ন দেখেছি আমি এক পথহারা পথিকের মতো তোমাদের এই সভ্য সমাজের লাস্যময়ী আধুনিকা নগরীতে। সূর্যের আলোহীন, মুক্ত বাতাসহীন ময়লা দুর্গন্ধে ভরা ম্যানহোল কলকারখানা আর গাড়ির কালো ধোঁয়া বিষবাষ্পের ন্যায় আবদ্ধ কন্টেইনারে প্রতি নিয়ত ঘুরে বেড়ায় আনমনে প্রাণ হরণে ঈশ্বরের পাঠানো যমদূত। ঠিকানাহীন পথিক […]বিস্তারিত পড়ুন
রুদ্র অয়নের কবিতা তবুও তুমি থাকো অন্তরে তুমি আজ আমার নও তুমি নেই আমার আঁকা জলরঙ আল্পনায়। তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি না আর মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন হয়ে এসে শুনিয়ে যাও স্বপ্ন ভাঙার গান! স্মৃতির কপাটের ফাঁফ বেয়ে আজও নিত্য তোমার আসা যাওয়া! দখিনা বাতাসের সাথে তোমার ভাবনাগুলো উড়িয়ে দিয়েছিলেম মেঘে মেঘে। তোমার রেশমি চুড়ির […]বিস্তারিত পড়ুন
কমলা ঠোঁটে স্বাধীনতা কমলা ঠোঁটে স্বাধীনতা (শোকের মাসে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে এ কবিতা উৎসর্গ করা হলো স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান শহিদদের প্রতি) দৃষ্টির দুরন্ত দিগন্তে বদলেছি আমি পদ্মার ঢেউয়ে,যমুনার বাঁকে ‘ কালোরাতে ‘ কাশবনের নীরক্ত ঠোঁটে আমাকে হারিয়ে খুঁজি নীল নক্ষত্রের ঘরে উদ্দাম প্রজাপতির উদ্ভিন্ন শরীরে উদ্ধত সুন্দর ভালোবেসেছি বিস্তারিত পড়ুন
রুমকি আনোয়ারের কবিতা সাগর- মানবিক সমস্ত দিনের ক্লান্তি ফোঁটা ফোঁটা করে ঝরে সন্ধ্যায় বাদুড়ের দুর্বোধ্য প্রলাপ- ঘাসের ডগায় রোদের উত্তাপ ছোঁয় রাতের শিশির জোৎস্নার বাড়ন্ত হাত পড়ে থাকে অবহেলায় মৃত সাদা ঘোড়ার মত পড়ে থাকি নির্জীব, নোঙ্গর ফেলতে পারি কোথাও ফেলি না কেবল অন্ধের মত ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি জন্মের মহিমা ভ্রাম্যমান জীবনের কাছে কেন দিতে […]বিস্তারিত পড়ুন
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর স্মৃতিকথা স্মৃতির বাতিঘর ১৯৭৪-৭৫ এর দিকে আমরা নানা বাড়ি(গাজিপুর,কাপাশিয়া) থাকি। আব্বা ঢাকায়।আমি তখন মায়ের কাছে শুয়ে বসে ক্লাশ টু পর্যন্ত পড়ে ভালোই জ্ঞান অর্জন করছিলাম।নানাবাড়িতে মায়ের ইমিডিয়েট ছোটভাই আমার মোমেন মামা।উনি তখন কাপাশিয়া ডিগ্রি কলেজে বি, এ র ছাত্র।বাড়িতে দক্ষিণ পাশে বাংলা ঘর।বিশ্রাম,দরবার,মিটিং,গান,নাচ,ইনডোর খেলা,আড্ডা ব্যাপক। ‘৭১ বিস্তারিত পড়ুন