আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হওয়া জুলাই-আগস্টের গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে আগামী ১৮ই নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইবুনালে হাজির করার নির্দেশাও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের দেওয়া এক আদেশে আরো ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ফরোয়ানা জারি হয়।
ট্রাইবুনালে ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভে গণহত্যা ছাড়াও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলের সকল হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, পিলখানা হত্যা, হেফাজতের সমাবেশে হত্যার বিবরণ তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনাবসান এবং ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচারকার্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত হয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনার জন্য ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এই ট্রাইবুনাল গঠন করেন। সেই ট্রাইবুনালে জামায়াত ও বিএনপির বেশকিছু নেতাকে শাস্তির আওতায় আনা হয় এবং শাস্তি কার্যকর করা হয়। বর্তমান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ সরকার কতৃক গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারকার্য পরিচালনার কথা জানান এবং সেই লক্ষে কতিপয় ধারা সংশোধনের কথাও বলেন।